প্রবল বেগে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আগামীকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে বাঁচতে চলছে নানা প্রস্তুতি।এর মধ্যেই আরেকটি দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নভেম্বর মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘূর্ণিঝড় দানা শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে।
দানার কারণে আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার থাকতে পারে। তবে শনিবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ শুক্রবার ভোরে ভিতরকানিকা ন্যাশনাল পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। তবে এ প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে।আইএমডির ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। যার ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় ভারি বৃষ্টিপাত, বাতাস ও ঝড়ের গতি সর্বোচ্চ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার ফলে ২ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসসহ রাজ্যটিতে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতেই সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গত সাত ঘণ্টায় উপকূলের দিকে আরও ৯০ কিলোমিটার এগিয়েছে ‘দানা’। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এটি ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে।